বিভিন্ন ভাষায় পরিবর্তন করুন

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

টাইটানিক কখনই ডুবে নাই !!

বিতর্ক:
এদিকে টাইটানিক ও অলিম্পিক এই দুটি জাহাজকে নিয়ে রয়েছে বিতর্কআসলে সেদিন দুর্ঘটনায় কোন জাহাজটি ডুবেছিল১৯৯৯ সালে ৬৪ বছর বয়স্ক আক্সফোর্ডের "রবিন গার্ডনার" (Robin Gardiner) তার লেখা বই "Titanic: The Ship that Never Sank?" এ দাবি করেন যে টাইটানিক কখনই ডুবে নাইআর তার দাবি অনেকটাই মিলে যায় কথিত টাইটানিক এর বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের দেওয়া সাক্ষ্যের সাথেবেঁচে যাওয়া যাত্রীদের মতে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের লোগো (Logo) ছিল অন্যরকম



তা কোন মতেই টাইটানিকের সাথে মিলে নারবিন গার্ডনার এর মতে ১৫ই এপ্রিল ১৯১২ সালে যে জাহাজট ডুবেছিল সেটি ছিল "অলিম্পিক" (Olympic) নামের আরেকটি জাহাজ তাহলে এখানে প্রশ্ন থাকে তাহলে আসল টাইটানিকের সেই ২২০০ যাত্রী কোথায়? এছাড়া আরও বিতর্ক রয়েছে যে, অসাবধানতা বশত নয়, নাবিকের ভুলের কারণে ডুবেছে টাইটানিকগোপন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববাসীর কাছে আসল ঘটনা চেপে গেছেন টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসারএই সেকেন্ড অফিসারের আত্মীয়ের লেখা এই বইটিতে তিনি দাবি করেছেন, এতোদিন পর্যন্ত এটি ফ্যামিলি সিক্রেট হিসেবেই সবার মাঝে গোপন ছিলবিবিসির বরাতে জানা গেছে, টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি ঔপন্যাসিক লুইস প্যাটার্ন তার নতুন এই বইয়ে জানিয়েছেন, একজন অফিসার টাইটানিককে আইসবার্গ বা বরফখন্ড থেকে দূরে নেয়ার বদলে উল্টো সেদিকেই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন
বিশ শতকের গোড়ার দিকের ঘটনানতুন একটি জাহাজ নিয়ে সারা পৃথিবীতে তখন হইছইজাহাজটি এতই বড় ও মজবুত যে এর নির্মাতারা ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডুবাতে পারবেন না! সমুদ্রে একটি পাটকাঠি ডুবে যাবে তবুও এই জাহাজ ডুববে না! জাহাজটির নাম টাইটানিক
অথচ সবার ধারণা ভুল প্রমান করে ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে উত্তর আটলান্টিক সমুদ্রের ডুবন্ত একটি আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে সমুদ্রের নীল জলে তলিয়ে যায় এই টাইটানিকতাও আবার প্রথম যাত্রাতেই! দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে ১,৫১৩ জন যাত্রীরভাগ্যবান ৬৮৭ জন যাত্রীর জীবন বাঁচলেও পরবর্তী জীবনে তাদের বয়ে বেড়াতে হয়েছে এই দু:স্বপ্ন টাইটানিক জাহাজটির ডিজাইনার থমাস এন্ডুর দাবি ছিল টাইটানিক কোনো দিন ডুবানো সম্ভব হবে নাআসলে তিনি গায়ের জোরে সে কথা বলেননিটাইটানিক জাহাজটির ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যা সকল প্রকার ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মধ্যেও সমুদ্রে বুক চিতিয়ে চলতে পারবেকিন্তু যেদিন টাইটানিক ডুবে যায় সেদিন তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪ দিনযেই জাহাজ জীবনেও ডোবানো সম্ভব নয়, সেই জাহাজ কিনা মাত্র ৪ দিনেই ডুবে গেলআপাতদৃষ্টিতে আইসবার্গের সাথে ধাক্কায় টাইটানিক ডুবির কারণ বলা হলেও এর কোনো সঠিক যুক্তি কোনো গবেষকই দিতে পারেন নিএকেক জন একেক ধরনের কারণ উদঘাটন করেছেনএর ফলে এই জাহাজ ডুবির ঘটনা রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে
 
নামকরণ ও নির্মাণকালীন তথ্য
টাইটানছিল গ্রীক পুরানের সৃষ্টির শক্তিশালী দেবতাএই দেবতার কাজই ছিল শুধু সৃষ্টি করাতার নামানুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল টাইটানিকএটি আসলে জাহাজটির সংক্ষিপ্ত নামএর পুরো নাম ছিল আর এম এস টাইটানিকআর এম এসএর অর্থ হচ্ছে রয়্যাল মেল স্টিমারঅর্থা পুরো জাহাজটির নাম ছিল রয়্যাল মেল স্টিমার টাইটানিক
টাইটানিক জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয় ১৯০৭ সালেপাঁচ বছর একটানা কাজ করে ১৯১২ সালে জাহাজটির কাজ শেষ হয়হল্যান্ডের হোয়াইট স্টার লাইনএই জাহাজটি নির্মাণ করেন৬০ হাজার টন ওজন এবং ২৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জাহাজটি নির্মাণ করতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৭৫ লাখ ডলারএত বড় আকারের জাহাজ নির্মাণ করা সেসময় মানুষ স্বপ্নও দেখতে পারতেন না

যাত্রা শুরু
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পদন থেকে নিউেইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে টাইটানিকসে সময় টাইটানিকে মোট যাত্রী ছিল ২২০০ জন এবং কয়েকশ কর্মীবৃটেন থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাওয়া খুবই বিপদজনক ছিলছোটখাটো জাহাজের পক্ষে বলা চলে জীবন বাজি রেখে যাত্রা করাকেননা হঠা সামুদ্রিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে পড়ার আশংকা সবসময়ই ছিল তারপরও এত সংখ্যক যাত্রী সমুদ্রের রোমাঞ্চকর এই ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য টাইটানিকের যাত্রী হয়েছিলটাইটানিকের প্রথম শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩১০০ ডলার আর তৃতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩২ ডলারএখানে শুধুমাত্র গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো এবং টাকা পয়সার কোনো বিষয় ছিল নাসে সময় টাইটানিককে নিয়ে পুরো বিশ্বেই হইচই পড়ে গিয়েছিলোতাই সবাই চেয়েছিল টাইটানিকের এই ঐতিহাসিক যাত্রায় নিজেকে সাক্ষী করে রাখতেটাইটানিক জাহাজটি যখন বন্দর থেকে ছেড়ে যায় তখন বন্দরে বিশাল জনসমাগম হয়েছিল যা অনেক রাজনৈতিক সমাবেশেও হয় নাঅবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণসাইরেন বাজিয়ে ধীরে ধীরে আটলান্টিকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো টাইটানিকজাহাজের যাত্রীরা পৃথিবীর চিন্তা ভুলে পার্থিব ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলোনির্ধারিত ৬ দিনের যাত্রাকে সামনে রেখে সবাই চলছিল নিয়মমতো আনন্দ মুখরিত পরিবেশেএক দিন, দুই দিন, তিন দিন ভালোই কাটলো জাহাজের যাত্রীদের
 
দুর্ঘটনার দিন দুপুরের ঘটনা:
১৪ই এপ্রিল দুপুর দুইটার দিকে ‘Amerika’ নামের একটি জাহাজ থেকে রেডিওর মাধ্যমে টাইটানিক জাহাজকে জানায় তাদের যাত্রাপথে সামনে বড় একটি আইসবার্গ রয়েছে শুধু তাই নয় পরবর্তীতে ‘Mesaba’ নামের আরও একটি জাহাজ থেকে এই একই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় টাইটানিকেএ সময় টাইটানিকের রেডিও যোগাযোগের দায়িত্বে ছিলেন জ্যাক পিলিপস ও হ্যারল্ড ব্রীজদুবারই তাদের দুজনের কাছে এই সতর্কবার্তাকে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়তাই তারা এই সতর্কবার্তা টাইটানিকের মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে পাঠান নিটাইটানিক দুর্ঘটনার মাত্র ৪০ মিনিট আগে Californian সিপের রেডিও অপারেটর টাইটানিকের সাথে যোগাযোগ করে আইসবার্গটি সম্পর্কে বলতে চেয়েছিল কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটর ক্লান্ত জ্যাক পিলিপস্ রাগান্বিত ভাবে বলে ‍‍"আমি কেইপ রেসের সাথে কাজে ব্যস্থ এবং লাইন কেটে দেয়।" ফলে Californian সিপের রেডিও অপারেটর তার ওয়ার্লেস বন্ধ করে ঘুমাতে চলে যায়বলা চলে তাদের এই হেয়ালীপনার কারণেই ডুবেছে টাইটানিক

দুর্ঘটনায় পড়া:
নিস্তব্দ আটলান্টিকের বুকে সবেমাত্র প্রবেশ করেছে টাইটানিকআটলান্টিকের তাপমাত্রা তখন শূন্য ডিগ্রীর কাছাকাছি নেমে যায় আকাশ পরিষ্কার থাকলেও আকাশে চাঁদ দেখা যাচ্ছিল নাটাইটানিক যখন দুর্ঘটনা স্থলের প্রায় কাছাকাছি চলে আসেতখনই জাহাজের ক্যাপ্টেন সামনে আইসবার্গ এর সংকেত পানআইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকেমানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় নাতখন তিনি জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিণ দিকে ফিরিয়ে নেনসে সময় টাইটানিকের পথ পর্যবেক্ষন কারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই আইসবার্গটি দেখতে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার মুর্ডক আকস্মিকভাবে বামে মোড় নেওয়ার অর্ডার দেন এবং জাহাজটিকে সম্পূর্ণ উল্টাদিকে চালনা করতে বা বন্ধ করে দিতে বলেন টাইটানিককে আর বাঁচানো সম্ভব হয় নিএর ডানদিক আইসবার্গের সাথে প্রচন্ড ঘষা খেয়ে চলতে থাকেফলে টাইটানিকের প্রায় ৯০ মিটার অংশ জুড়ে চিড় দেখা দেয় টাইটানিক জাহাজটি যেই স্থানে ডুবেছিল সেই স্থানের নাম হলো গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ড
টাইটানিক সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারতোকিন্তু পানিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৫টি কম্পার্টমেন্টঅনেকের মধ্যে এই কম্পার্টমেন্ট নিয়ে কিছুটা খটকা থাকতে পারেতাদের উদ্দেশ্যে বলছিধরুন আপনি একটি জাহাজ তৈরি করেছেনতার তলদেশ চারটি ভাগে বিভক্তএই চারটি ভাগের মধ্যে একটি ভাগ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেটি দিয়ে জাহাজের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছেএই অবস্থায় আপনি যদি সেই অংশ বন্ধ করে দেন তাহলে জাহাজে ঢোকা পানি শুধুমাত্র এই একটি কম্পাটমেন্টকেই পানিপূর্ণ করতে পারবেবাকি তিনটি কম্পার্টমেন্ট অক্ষত অবস্থায় জাহাজটিকে ভাসিয়ে রাখবে
এছাড়া পানি প্রতিরোধ এর জন্য ১২টি গেট ছিলভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এমন জায়গায় জাহাজটির ধাক্কা লাগে যে, সবগুলো গেটের পানি প্রতিরোধ বিকল হয়ে যায় পানির ভারে আস্তে আস্তে পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে টাইটানিকক্যাপ্টেন স্মিথ সহ জাহাজ চালনায় দায়িত্তপ্রাপ্ত সবাই বুঝতে পারে যে, টাইটানিকে আর বাঁচানও যাবে নাক্যাপ্টেন স্মিথ মূল নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে আসেন এবং জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেনরাত ১২ টার পর লাইফবোটগুলো নামানো শুরু হয় প্রত্যেক যাত্রীই আপন প্রান বাঁচানোর জন্য লাইফ বোটে উঠতে যায়কিন্তু লাইফ বোট ছিল মাত্র ১৬টিতাই ক্যাপ্টেন নির্দেশ দিলেন- মহিলা ও শিশুদের আগে নামতে দিনআপন জনকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছেড়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য ছিল ভয়ংকর
ভাগ্যের বড়ই নির্মম পরিহাস
টাইটানিকের নিয়ন্ত্রনকেন্দ্র হতে দূরবর্তী একটি জাহজের আলো দেখা যাচ্ছিল যার পরিচয় এখনো রহস্যে ঘেরাকেউ কেউ বলে সেটি ছিল Californian আবার কেউ কেউ বলে সেটি ছিল Sampsonটাইটানিক থেকে ওয়ারলেস মাধ্যমে যোগাযোগে কোন সাড়া না পেয়ে পরবর্তিতে মর্স ল্যাম্প এবং শেষে জরুরী রকেট ছোড়ার মাধ্যমেও জাহাজটির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু জাহাজটি একবারও সাড়া দেয়নিএছাড়া টাইটানিক থেকে সাহায্য চেয়ে যে বার্তা পাঠানো হয়েছিল তাতেও সঠিকসময়ে কেউ সাড়া দিতে পারে নিকেননা নিকটবর্তী স্থানে কেউ ছিলো নাটাইটানিকের সবচেয়ে নিকটে ছিলদি কারপাথিয়াজাহাজটিতবে তারা যে দূরত্বে ছিল সেখান থেকে টাইটানিকের কাছে আসতে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা
সম্পূর্ণ অংশ তলিয়ে যাওয়া
রাত ২ টা থেকে ২ টা ২০ মিনিটের মধ্যে টাইটানিকের সম্পূর্ণ অংশ আটলান্তিকের বুকে তলিয়ে যায়ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে জাহাজের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিকল হয়ে যায়যার কারণে সেই পরিবেশটি আরও হৃদয় বিদারক হয়ে ওঠেটাইটানিক যখন সমুদ্রের বুকে তলিয়ে যায় ঠিক তার এক ঘন্টা ৪০ মিনিট পর রাত ৪ টা ১০ মিনিটে সেখানে আসে দি কারপাথিয়ানামের একটি জাহাজযারা সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন তাদেরকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিউইয়র্কে চলে যায়

অযৌক্তিক কারণ:
অনেকেরই ধারনা ছিল টাইটানিক জাহাজে কোন অভিশাপ ছিল যুক্তি প্রমান করার অন্যতম একটি কারন হিসেবে তারা দেখিয়েছিল টাইটানিকের নম্বর ৩৯০৯০৪পানিতে এর প্রতিবিম্বের পাশ পরিবর্তন করলে হয় no popeএছাড়া প্রাথমিকভাবে ও সর্বাধিক মতানুসারে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হয়কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাহিনী প্রচলিত রয়েছেএর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত কাহিনীটি জানায় ১৯৯৮ সালের ১৯ অক্টোবরে টাইমসসে অনুসারে টাইটানিক জাহাজে নাকি ছিল মিসরীয় এক রাজকুমারীর অভিশপ্ত মমিবলা হয়, মমির অভিশাপের কারণেই ভাসমান বরফদ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল টাইটানিক

ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া:
দীর্ঘ ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে যন্ত্রচালিত অনুসন্ধান শুরু করে একদল বিজ্ঞানীযেই স্থানটিতে টাইটানিক জাহাজটি ডুবেছিল সেই স্থানের ১৩,০০০ মিটার পানির নিচে সন্ধান পান টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের রবার্ট বালার্ড নামক ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেনবড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেনসন্ধান পেলেও এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় নিকিংবদন্তীর টাইটানিক জাহাজ ডুবি বিষয়ে ইংরেজ কবি শেলি তার ওজিম্যানডিয়াস কবিতায় মত প্রকাশ করেছেন এভাবে - "সমুদ্রের নীচে বালি, পলি, আর প্রবালের মৃতদেহের পাশে ছড়িয়ে আছে বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান ও প্রকৃতির অহমিকার শেষ চিহ্ন।"
আবার আলোচনায় ফিরে আসা:
টাইটানিকের প্রতি বরাবরই মানুষের আগ্রহ ছিল নির্মাণকালীন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই টাইটানিকটাইটানিক ডোবার পর এর উপর ভিত্তি করে অনেক প্রতিবেদন ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিলসেগুলো কোনোটিই টাইটানিক পিপাসুদের পিপাসা নিবারণ করতে পারেনি১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরুন তৈরি করেন টাইটানিকমুভিটিএই মুভিটি তৈরি করতে সে সময় খরচ হয়েছিল ২০০ মিলিয়নেরও বেশি টাকাঅনেকে জেমস ক্যামেরুনকে বোকা ভেবেছিল কারণ এতো টাকা কোনোদিনই তোলা সম্ভব নয়কিন্তু যেখানে কালজয়ী টাইটানিক সেখানে এই টাকা তো সামান্যই বটেসমালোচকদের সেই ভবিষ্যতবাণী মিথ্যা প্রমাণিত করে জেমস ক্যামেরুনের সেই টাইটানিকমুভিটি আয় করেছিল প্রায় ১.৮৩৫ বিলিয়ন (১৮৩৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করে এবং পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দিয়ে ১১টি অস্কারসহ আরো অন্যান্য ৭৬টি পুরস্কার জিতে নেয়
আসছে নতুন টাইটানিক
২০১৬ সালে আবারও সমুদ্রে ভাসবে নতুন টাইটানিক ভেতরে-বাইরে মূল টাইটানিকের আদলে তৈরি করা হবে নতুন জাহাজটিঅস্ট্রেলিয়ার ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ী দ্বিতীয় এ টাইটানিক তৈরির পরিকল্পনা করেছেনচীনের এক জাহাজ নির্মাতা কম্পানির সঙ্গে এরই মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে তাঁর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের আবাসন ও কয়লা ব্যবসায়ী ক্লাইভ পালমার প্রথম টাইটানিকের মতো একই চেহারার কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বিতীয় টাইটানিক তৈরির পরিকল্পনা করেছেননতুন জাহাজটি তৈরির জন্য ব্লু স্টার লাইন নামের নতুন একটি জাহাজ কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনিপরিকল্পিত নতুন জাহাজের নাম রাখা হয়েছে 'টাইটানিক টু' বা দ্বিতীয় টাইটানিকনতুন এ প্রমোদতরীর ব্যাপারে মানুষের মধ্যে এতটাই আগ্রহ তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে কয়েক ডজন লোক দ্বিতীয় টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আগাম যোগাযোগ শুরু করেছে১০ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁদের কয়েকজনপ্রথমটির মতোই ৯টি তলা এবং ৮৪০টি কক্ষ রাখা হচ্ছে নতুন জাহাজেডিজেল-চালিত ইঞ্জিনের ধোঁয়া নির্গমণের জন্য প্রথমটির মতোই চারটি চিমনি রাখা হচ্ছে দ্বিতীয়টিতেতবে এর ইঞ্জিন হবে আরো আধুনিকজাহাজের নিচের অংশেও কিছু পরিবর্তন থাকছেপর্যটকদের আকর্ষণের জন্য একটি প্রদর্শনী কক্ষ রাখা হচ্ছেপ্রথম টাইটানিকের মতো দ্বিতীয় টাইটানিক যাতে কোনো দুর্ঘটনার শিকার না হয়, তার জন্য চীনের নৌবাহিনীর একটি বহর এর সঙ্গে থাকবেপ্রথমটির মতো দ্বিতীয় টাইটানিকও প্রথম যাত্রায় লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কে পথে রওনা দেবে
#___________সেলিম

ডিম আগে না মুরগি আগে এই রহস্যের সমাধান


ডিম যখন মুরগির কাছ থেকে আসে তখন একে একটি নামে ডাকা হয়কিন্তু যখন রান্না করতে নেয়া হয় তখন এর নাম পরিবর্তীত হতে থাকেমামলেট, ঝাল ফ্রাই, অমলেট প্রভৃতিতবে এই ডিম আর মুরগি নিয়ে মানুষের মাঝে একটি বিতর্ক অনেক আগে থেকেই প্রচলিতআর এই বিতর্কটা মূলত ডিম আর মুরগির আবির্ভাব নিয়েডিম আগে নাকি মুরগি আগেতবে বিজ্ঞানীরা যা দাবি করেছে তাতে মুরগিই আগে, ডিম পরে


বিজ্ঞান বলছে, একমাত্র মুরগির শরীরের ভিতরে থাকলেই ডিমের অস্তিত্ব থাকতে পারে ওভোক্লেডিডিন-১৭ নামক একটি প্রোটিন ডিমের খোসা তৈরি করতে সাহায্য করে কুসুমের বৃদ্ধি ও নতুন মুরগির জন্ম হতে এই খোসা ও ফ্লুইড খুবই গুরুত্বপূর্ণএকটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শেফিল্ড ও ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ডিমের গঠন প্রক্রিয়ার ওপর সুপার কম্পিউটার জুম করেনপরীক্ষা প্রমাণ করেছে ডিমের গঠনের জন্য ওসি-১৭ প্রোটিনের প্রয়োজন আবশ্যক। এই প্রোটিনের ক্যালসিয়াম কার্বোনেটকে ক্যালসাইট ক্রিস্টালে পরিণত করে যা ডিমের শক্ত খোসার গঠন তৈরি করেঅনেক প্রাণীর শরীরের হাড়ের মধ্যেও ক্যালসাইট ক্রিস্টাল পাওয়া যায়কিন্তু মুরগির শরীর যেকোনো প্রাণীর থেকে এই ক্রিস্টাল বেশি তাড়াতাড়ি তৈরি করেপ্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৬ গ্রাম করে ক্যালসাইট ক্রিস্টাল তৈরি হয় মুরগির শরীরে

শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং মেটিরিয়াল বিভাগের ড. কলিন ফ্রিম্যান জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই মনে করা হত ডিম মুরগির আগে এসেছে কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত যে মুরগি ডিমের আগে এসেছে
#______সেলিম



ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া:
দীর্ঘ ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে যন্ত্রচালিত অনুসন্ধান শুরু করে একদল বিজ্ঞানী। যেই স্থানটিতে টাইটানিক জাহাজটি ডুবেছিল সেই স্থানের ১৩,০০০ মিটার পানির নিচে সন্ধান পান টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের। রবার্ট বালার্ড নামক ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেন। বড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেন। সন্ধান পেলেও এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় নি। কিংবদন্তীর টাইটানিক জাহাজ ডুবি বিষয়ে ইংরেজ কবি শেলি তার ওজিম্যানডিয়াস কবিতায় মত প্রকাশ করেছেন এভাবে - "সমুদ্রের নীচে বালি, পলি, আর প্রবালের মৃতদেহের পাশে ছড়িয়ে আছে বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান ও প্রকৃতির অহমিকার শেষ চিহ্ন।" - See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/4675/index.html#sthash.AW9Bj8wN.dpufমিডিয়া জগতে সারিকার উপস্থিতি বরাবরই ছিল প্রবল। কাজের জন্য তো বটেই, কিন্তু তার চাইতে অনেক বেশী বিতর্কিত হয়েছে তার সৌন্দর্য ও প্রেমের গুঞ্জনের কারণে। ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম নিয়ে বারবার খবরের শিরোনামে পরিণত হয়েছে সারিকা। তবে সে যাই হোক, অবশেষে মাহিম করিমের হাত ধরে কিছুদিন আগেই সংসারী হন তিনি।
ডিম যখন মুরগির কাছ থেকে আসে তখন একে একটি নামে ডাকা হয়। কিন্তু যখন রান্না করতে নেয়া হয় তখন এর নাম পরিবর্তীত হতে থাকে। মামলেট, ঝাল ফ্রাই, অমলেট প্রভৃতি।তবে এই ডিম আর মুরগি নিয়ে মানুষের মাঝে একটি বিতর্ক অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। আর এই বিতর্কটা মূলত ডিম আর মুরগির আবির্ভাব নিয়ে। ডিম আগে নাকি মুরগি আগে। তবে বিজ্ঞানীরা যা দাবি করেছে তাতে মুরগিই আগে, ডিম পরে। - See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/9465/index.html#sthash.zYZXaMEe.dpuf